Wellcome to National Portal
Economic Relations Division Government of the People's Republic of Bangladesh
Text size A A A
Color C C C C

Last updated: 19th November 2018

Ten Years Development

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

অর্থ মন্ত্রণালয়

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ

 

“উন্নয়নের দশ বছর (২০০৮-২০০৯ হতে ২০১৭-২০১৮) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, অর্থমন্ত্রণায়ের ভূমিকা”

 

বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসাবে পরিণত করার লক্ষ্যে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই বর্তমান সরকার প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২০২১) প্রণয়ন করে। এই দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত নির্ণায়কসমূহ যথা মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক সংকট সূচকের মান ইতোমধ্যে অর্জন করেছে। উত্তরণ প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিপিডি) কর্তৃক  গত ১২ মার্চ, ২০১৮ তারিখে জাতিসংঘের সিপিডি-এরত্রি-বার্ষিক পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের জন্য প্রথমবারের মত সুপারিশ লাভ করেছে-যা স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের উন্নয়নে একটি বড় অর্জন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ও ভিশন ২০২১ এর সফল রূপায়ন। এছাড়া ষষ্ঠ ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনাসমূহের আলোকে ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে সরকার উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। অভ্যন্তরীণ উৎস হতে সম্পদ সংগ্রহের পাশাপাশি বিদ্যুৎ-জ্বালানি, তথ্য প্রযুক্তি, সেতু, সড়ক ও রেলসহ অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে সরকার বৈদেশিক সহায়তা কার্যক্রম জোরদার করে। ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং ২০১৫ পরবর্তী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (Sustainable Development Goals) অর্জনে প্রয়োজনীয় সরকারি বিনিয়োগ নিশ্চিতকল্পে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বৈদেশিক অর্থায়ন সংগ্রহের কাজ করে যাচ্ছে।

 

বৈদেশিক সহায়তা সংগ্রহ ছাড়করণ:

 

বৈদেশিক সহায়তা সংগ্রহ কার্যক্রমের আওতায় ২০০৮-০৯ হতে ২০১৭-১৮ অর্থ-বছর পর্যন্ত সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী মোট কমিটমেন্ট-এর পরিমাণ ৭২.৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে অনুদান ও ঋণ এর পরিমাণ যথাক্রমে ৫.৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ৬৬.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সময়ে অর্থাৎ ২০০৮-০৯ হতে ২০১৭-১৮ অর্থ-বছর পর্যন্ত মোট ডিসবার্সমেন্ট এর পরিমাণ ৩০.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে অনুদান ও ঋণের পরিমাণ যথাক্রমে ৫.৯৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ২৪.৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। নিম্নের সারণিতে ২০০৮-০৯ হতে ২০১৭-১৮ অর্থ-বছর পর্যন্ত বৈদেশিক সহায়তার কমিটমেন্ট ও ডিসবার্সমেন্ট-এর তথ্য উপস্থাপন করা হলোঃ  

 

                                                                                                                                      (মিলিয়ন মার্কিন ডলার)

অর্থ-বছর

অর্জিত কমিটমেন্ট

ডিসবার্সমেন্ট

অনুদান

ঋণ

মোট

অনুদান

ঋণ

মোট

২০০৮-০৯

৪২৩.২৬

২০২১.০৬

২৪৪৪.৩২

৬৫৭.৮১

১১৮৯.৫০

১৮৪৭.৩১

২০০৯-১০

৫৫৫.১৫

২৪২৮.৫৩

২৯৮৩.৬৮

৬৩৯.১৭

১৫৮৮.৬০

২২২৭.৭৭

২০১০-১১

৮৩০.৪৬

৫১৩৮.১৭

৫৯৬৮.৬২

৭৪৫.১০

১০৩১.৬৪

১৭৭৬.৭৪

২০১১-১২

১৪৪১.৩৭

৩৩২৩.১৫

৪৭৬৪.৫২

৫৮৭.৯৯

১৫৩৮.৪৮

২১২৬.৪৭

২০১২-১৩

৫৫৪.৫৩

৫৩০০.০৮

৫৮৫৪.৬১

৭২৬.২৭

২০৮৪.৭৩

২৮১১.০০

২০১৩-১৪

৪৯৭.৮২

৫৩৪৬.৪০

৫৮৪৪.২২

৬৮০.৭৩

২৪০৩.৬৬

৩০৮৪.৩৯

২০১৪-১৫

৪৯৩.৬৬

৪৭৬৪.৮১

৫২৫৮.৪৭

৫৭০.৮৩

২৪৭২.২৫

৩০৪৩.০৭

২০১৫-১৬

৫৪৪.৯২

৬৫০৩.১৬

৭০৪৮.০৮

৫৩০.৫৬

৩০৩৩.০৩

৩৫৬৩.৫৯

২০১৬-১৭

৪০৪.৫৩

১৭৫৫৭.৩২

১৭৯৬১.৮৫

৪৫৯.৩৫

৩২১৭.৯৪

৩৬৭৭.২৯

২০১৭-১৮

৩৮০.৭৩

১৪২৩১.৪৫

১৪৬১২.১৮

৩৮০.৬৩

৫৯১০.১২

৬২৯০.৭৫

 

বিশ্বের বিভিন্ন দ্বি-পাক্ষিক (Bilateral) এবং বহু-পাক্ষিক (Multilateral) উন্নয়ন সহযোগীদের নিকট হতে বাংলাদেশ বৈদেশিক সহায়তা সংগ্রহ করে থাকে। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, আইডিবি, ইউএন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন  প্রভৃতি বহু-পাক্ষিক এবং রাশিয়া, জাপান, চীন, সৌদি আরব, ইউকে, নরডিক দেশসমূহ প্রভৃতি দ্বি-পাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম। উন্নয়ন সহযোগীদের নিকট হতে প্রাপ্ত এসব বৈদেশিক সহায়তা বাংলাদেশের অবকাঠামো ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। ২০১৭-১৮ অর্থ-বছরে বহু-পাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক হতে সর্বোচ্চ বৈদেশিক সহায়তা (কমিটমেন্ট) পাওয়া গেছে, যার পরিমাণ ২,৯৩৫.৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দ্বি-পাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে জাপান হতে সর্বোচ্চ কমিটমেন্ট পাওয়া গেছে, যার পরিমাণ ১,৮১৩.২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে, এ অর্থ-বছরে বহুপাক্ষিক উৎসের মধ্যে বিশ্ব ব্যাংক সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক সহায়তা ছাড় করেছে, যার পরিমাণ ১,৪২২.৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দ্বিপাক্ষিক উৎসের মধ্য হতে জাপান সর্বোচ্চ ১,৫৪৪.১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক সহায়তা ছাড় করেছে।

 

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিঃ

 

() প্রকল্প সাহায্যের বরাদ্দঃ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-তে বৈদেশিক সহায়তা হতে বরাদ্দের পরিমাণ ২০০৮-০৯ তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থ-বছরে প্রায় সাড়ে চার গুণ বেড়েছে। নিম্নের সারণিতে ২০০৮-০৯ হতে ২০১৭-১৮ অর্থ-বছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে প্রকল্প সাহায্য বরাদ্দের তথ্য উপস্থাপন করা হলোঃ                                                                                                                           

                                                                                                                           (কোটি টাকা)

অর্থ-বছর

মোট বরাদ্দ

প্রকল্প সাহায্য বারাদ্দ

২০০৮-০৯

২৩,০০০

১০,২০০

২০০৯-১০

২৮,৫০০

১১,৩০০

২০১০-১১

৩৫,৮০০

১১,৯৩০

২০১১-১২

৪১,০০০

১৫,০০০

২০১২-১৩

৫০,০২৬

১৮,৫০০

২০১৩-১৪

৬০,০০০

২১,২০০

২০১৪-১৫

৭৭,৮৩৬

২৪,৯০০

২০১৫-১৬

৯১,০০০

২৯,১৬০

২০১৬-১৭

১,১০,৭০০

৩৩,০০০

২০১৭-১৮

১,৪৮,৩৮১

৫২,০৫০

 

(বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে সর্বাধিক বরাদ্দপ্রাপ্ত পাঁচটি সেক্টরের বছর ভিত্তিক তথ্যঃ ২০০৮-০৯ হতে ২০১৭-১৮ অর্থ-বছর পর্যন্ত সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বিদ্যুৎ খাত সবচেয়ে বেশী প্রকল্প সাহায্য বরাদ্দ পেয়েছে। নিম্নের সারণিতে ২০০৮-০৯ হতে ২০১৭-১৮ অর্থ-বছর পর্যন্ত সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বৈদেশিক সহায়তার সর্বাধিক বরাদ্দপ্রাপ্ত কয়েকটি সেক্টরের বছরভিত্তিক তথ্য উপস্থাপন করা হলোঃ                                                                                                                                                                                                

                                                                                                                                                          (কোটি টাকা)

অর্থ-বছর

বিদ্যুৎ

পরিবহণ

ভৌত পরিকল্পনাপানি সরবরাহ ও গৃহায়ন

স্বাস্হ্য,পুষ্টিজনসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ

পল্লী উন্নয়নও পল্লী প্রতিষ্ঠান

শিক্ষা ও ধর্ম

বিজ্ঞান, তথ্য ওযোগাযোগ প্রযুক্তি

২০০৮-০৯

১৪৮৮.৪৪

৮৩২.৭৩

৬৮১.৪৯

১৭০৬.৫৮

১৬৮১.৪১

১৩৮২.৪১

২০.৪৩

২০০৯-১০

১৪১৭.১৮

৯৫৯.০৪

৯৪২.১

১৮০৬.১৮

১৭৮৯.৬৫

১৯০৬.৭৯

১৮.০২

২০১০-১১

১৬৬৩.৯৮

২০৯২.৫

১১৪৬.৩৪

১৪০৪.১৮

১৬৫৭.০৪

১৮৮৩.৯

২৩.৫৩

২০১১-১২

২৪৬১.১৩

২১৩৬.২১

১৫৭৫.০৭

১৬৫৯.৩৯

১৫৫১.৪৩

১০৬৮.৭৮

৩.০৪

২০১২-১৩

৩৪০৩.০৪

২১১৬.৯৯

১৮৪৭.৫৪

২১৬৩.৭৯

২০৭৬.

১৩৫৪.৮৬

১০৭.০৪

২০১৩-১৪

৩২০৯.১১

২৬৩১.২৬

১৬৯৩.৫১

২৫০১.৯৮

২১২৬.০৮

১৬১৪.৩৭

১০২৮.৭৮

২০১৪-১৫

৩৫৯৩.০১

২৮০২.৬৬

২৮২৯.৬

২৬৪২.৭৫

২২৮৯.৭

১৪২১.২৪

৪১৭৭.১৮

২০১৫-১৬

৮৩০৮.৯২

৪৫৯৭.১৭

৩২৯৫.০

২৭১২.৪১

২৭০৫.৯২

১৫০৪.৫৭

৮১৭.৭৩

২০১৬-১৭

৪৫৭৭.০৪

৯০৯৫.৪২

৪৮০২.১৭

১৭৫৩.৯২

২৪২৭.৭৯

১৪৫৭.৯০

৩০২২.৭৯

২০১৭-১৮

১১০২৬.৭৬

১৫২২৯.৫৩

৪২৮০.৮১

৩৩৬৮.৬১

৩৩৩১.০৫

১৩৮৯.৩৮

৮৯৯৪.১৮

মোট

৪১১৪৮.৬১

৪২৩১২.৬৫

২৩০৯৩.৬৩

২১৭১৯.৭৯

২১৬৩৬.০৭

১৪৯৮১.৬৫

১৮২১২.৭২

 

বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনাঃ

() বৈদেশিক সহায়তার খাত:

নিম্নের সারণিতে ২০০৮-০৯ হতে ২০১৭-১৮ অর্থ-বছর পর্যন্ত ছাড়কৃত বৈদেশিক সহায়তার খাতওয়ারি বিবরণ উপস্থাপন করা হলোঃ

                                                                                                                       (মিলিয়ন মার্কিন ডলার)

অর্থ-বছর

খাদ্য সাহায্য

পণ্য সাহায্য

প্রকল্প সাহায্য

বাজেট সাপোর্ট

২০০৮-০৯

  • .৪

-

  • .৯

৩০০.০

২০০৯-১০

৯৩.৪

-

  • .৪

৬৪৪.০

২০১০-১১

৫৫.০

-

  • .৮

১৭০.০

২০১১-১২

৬৯.৩

-

  • .২

১০০.০

২০১২-১৩

৫০.২

-

  • .৮

৩৪২.০

২০১৩-১৪

৩৭.৬

-

  • .৮

১৬১.০

২০১৪-১৫

৩৭.৫

-

  • .৫

১৪৪.০

২০১৫-১৬

৩১.৯

-

  • .৭

-

২০১৬-১৭

২৮.৮

-

  • .৫

-

২০১৭-১৮

১১.৪৬

-

  • .৩

-

 

() সরকারি ঋণ পরিশোধ ঋণের স্থিতিঃ নিম্নের সারণিতে ২০০৮-০৯ হতে ২০১৭-১৮ অর্থ-বছর পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের তথ্য উপস্থাপন করা হলোঃ

                                                                                                                       (মিলিয়ন মার্কিন ডলার)

অর্থ-বছর

  •  

সুদ

মোট

ঋণের স্থিতি

২০০৮-০৯

  • .৬০

১৯৯.৮০

৮৫৫.৪০

২০৮৫৮.৭৫

২০০৯-১০

৬৮৫.৭৪

১৮৯.৮৪

৮৭৫.৫৮

২০৩৩৫.৭৬

২০১০-১১

৭২৯.২২

২০০.১৫

৯২৯.৩৭

২২০৮৫.৫২

২০১১-১২

৭৬৯.৯০

১৯৬.৫৬

৯৬৬.৪৬

২২০৯৫.১৭

২০১২-১৩

৯০৮.১৬

১৯৭.৫৪

১১০৫.৭০

২২৩৮১.৩৮

২০১৩-১৪

১০৮৮.৪৯

২০৫.৯৪

১২৯৪.৪৩

২৪৩৮৭.৯১

২০১৪-১৫

৯০৯.৪৬

১৮৭.৭৩

১০৯৭.১৯

২৩৯০১.০৩

২০১৫-১৬

৮৪৮.৪৮

২০২.১০

১০৫০.৫৮

২৬৩০৫.৭১

২০১৬-১৭

৮৯৪.১০

২২৯.১৭

১১২৩.২৭

২৮৩৩৭.৩৭

২০১৭-১৮

১০৯৬.৮

২৯৪.৮৮

১৩৯১.৬৬

৩৩১৫০.৭১

 

() পাবলিক সেক্টর (সরকারি সায়ত্বশাসিত) বৈদেশিক ঋণের স্থিতিবস্থা (Debt sustainability)

 

 অর্থ-বছর \সূচক

বৈদেশিক ঋণের স্থিতি

বৈদেশিকঋণ পরিশোধ

জিডিপি’র তুলনায়

রপ্তানী আয়ের তুলনায়

রাজস্ব আয়ের তুলনায়

রপ্তানী আয়ের তুলনায়

২০০৮-০৯

২৪.৪%

৮০.৫%

১৭.৪%

৬.৪%

২০০৯-১০

২১.৪%

৭২.৩%

১৪.৮%

৫.৭%

২০১০-১১

২১.১%

৬৩.৮%

১৫.০%

৫.০%

২০১১-১২

১৭.৬%

৫৯.২%

১৯.৪%

৭.০%

২০১২-১৩

১৬.৬%

৫৬.৪%

২৩.৭%

৮.৬%

২০১৩-১৪

১৫.৬%

৫৭.৬%

১৬.৫%

৬.৪%

২০১৪-১৫

১৩.৬%

৫৪.১%

১৩.৪%

৫.১%

২০১৫-১৬

১৩.২%

৫৭.৯%

১০.৮%

৪.৭%

২০১৬-১৭

১২.৮%

৬৩.৬%

৭.৯%

৪.০%

২০১৭-১৮

২০১৭-১৮ অর্থবছরের জিডিপি, রাজস্ব আয়, ও রপ্তানী আয়ের সর্বশেষ তথ্য অদ্যবধি পাওয়া যায়নি।

আন্তর্জাতিকভাবে ধারনক্ষমতার ঝুঁকি সীমা

৪০%

১৫০%

৩০%

২০%

 

 

 

বড় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পরিবীক্ষণঃ

জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও বড় প্রকল্পের বাস্তবায়ন গতিশীল করার লক্ষ্যে ১৫ মে ২০১৩ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠনের পর হতে জুন ২০১৮ পর্যন্ত এই কমিটির মোট ৪ টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প, ২*৬৬০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার (রামপাল) প্রকল্প, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প, ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট (মেট্রোরেল) প্রকল্প, এলএনজি ফ্লোটিং, স্টোরেজ এ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট নির্মাণ প্রকল্প, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্প, মাতারবাড়ি ২*৬০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিকাল কোল্ড ফায়ার্ড পাওয়ার প্রকল্প, গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্প, পদ্মা বহুমুখী সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ও দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু-মায়ানমারের নিকট ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ-এ ১০ টি প্রকল্পকে ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফাস্ট ট্র্যাকভুক্ত প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করার জন্য ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।

বৈদেশিক সহায়তার ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজেশনঃ

  • সহায়তাপুষ্ট পাইপলাইন ও চলমান প্রকল্পসমূহ নিবিড় পরিবীক্ষণ এবং বৈদেশিক সহায়তার ব্যবস্থাপনা গতিশীল করার জন্য ফরেন এইড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (FAMS) নামক তৈরিকৃত ওয়েব বেইজড এপ্লিকেশন সফ্‌টওয়ারটি ইতোমধ্যে উদ্বোধন করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এ সিস্টেমের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগ/এজেন্সিসমূহ অনলাইনে সংযুক্ত হবে এবং এর মাধ্যমে বৈদেশিক সহায়তার আহরণ, ছাড় ও ব্যবহার পর্যবেক্ষণ এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি প্রণয়নসহ বৈদেশিক সহায়তার সার্বিক ব্যবস্থাপনা সহজতর হবে।

আইন, নীতি বিধি সংক্রান্তঃ

গত ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সালে International Finance Corporation Ordinance, 1976 (Ordinance No. XII of 1976) রহিতক্রমে প্রণীত “International Finance Corporation ACT, 2015” আইনটি বাংলাদেশ গেজেট-এ প্রকাশিত হয়।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমঃ

  • ক) মাননীয় অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে গঠিত স্ট্যান্ডিং কমিটি অন নন-কনসেশনাল লোন অনমননীয় বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের প্রস্তাবসমূহ যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন করে থাকে। উল্লেখ্য যে, এ কমিটি’র এ পর্যন্ত অর্থাৎ ৩০ জুন, ২০১৮ পর্যন্ত ২৩ টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ও ৪৯ টি অনমনীয় ঋণ প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে;

 

  • খ) প্রকল্প বাস্তবায়ন দ্রুততর করার লক্ষ্যে প্রকল্পের যথাযথ প্রস্তুতি নিশ্চিতকরণ এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের প্রস্তুতিমূলক কাজ সম্পাদনের নিমিত্ত ‘প্রকল্পের প্রস্তুতিমূলক কাজের অর্থ বরাদ্দ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা’ এবং ‘প্রকল্পের প্রস্তুতিমূলক কাজের চেকলিস্ট’ প্রণয়ন ও সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগে বিতরণ করা হয়েছে;

 

  • গ) ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তিতে অধিকতর দক্ষতা অর্জনের জন্য এ বিভাগে ৩০ টি ডেক্সটপ কম্পিউটার সম্বলিত একটি আধুনিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ল্যাব চালু করা হয়েছে। এছাড়া ইআরডি’র সকল দপ্তরকে যুক্ত করে একটি লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে এবং সকল দপ্তরে ইন্টারনেট সংযোগ এবং ক্যাম্পাসে Wi-Fi নেটওয়ার্ক চালু আছে। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ডিজিটাল এটেনড্যান্স (ফিংগার প্রিন্ট) চালু করা হয়েছে এবং কম্পিউটারে বাংলা ব্যবহার প্রমিতকরণের লক্ষ্যে ইউনিকোড ব্যবহার করা হচ্ছে;
  • ঘ) এশিয়ার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের উদ্যোগে Asian Infrastructure Investment Bank (AIIB) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই ব্যাংকের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রধানতঃ অবকাঠামো এবং অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে এশিয়ার টেকসই উন্নয়ন, সম্পদ সৃষ্টি এবং যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে উৎসাহিত করা এবং দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে কাজ করে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। বাংলাদেশ AIIB’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হয়েছে। বাংলাদেশের মোট শেয়ারের পরিমাণ ৬,৬০৫ (প্রতিটি ১.০০ লক্ষ মার্কিন ডলার মূল্যমান) এবং চাঁদার পরিমাণ ৬৬০.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যার ২০% paid-in হিসাবে বাংলাদেশের প্রদেয় চাঁদার পরিমাণ ১৩২.১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (প্রায় ১০৫৬.৮০ কোটি টাকা)। AIIB’র সদস্য হওয়ার ফলে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে AIIB’র অর্থায়ন গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া, বোর্ড অব গভরনর্স এবং বোর্ড অব ডাইরেক্টর্স এর সভাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সভায় অংশগ্রহণ করে AIIB’র পলিসি পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। AIIB’র অর্থায়নে বর্তমানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দু'টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে;

 

  • ঙ) বিশ্বব্যাপী দক্ষিণের অনেক দেশই South-South Cooperation (SSC) এর গুরুত্ব অনুধাবন করে একে নিজেদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হিসাবে গ্রহণ করছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের জাতিসংঘ অনুবিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা সেল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উদ্যোগে UNDP এবং United Nations Office for South-South Cooperation (UNOSSC) এর সহযোগিতায় গত ১৭-১৮ মে ২০১৫ সালে বাংলাদেশ “High Level Meeting on South-South and Triangular Cooperation in the post 2015 Development Agenda: Financing For Development in the South and Technology Transfer” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। অর্থনৈতিক সর্ম্পক বিভাগের জাতিসংঘ অনুবিভাগ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র কার্যালয়ের আওতাধীন a2i প্রকল্প এর যৌথ উদ্যোগে “Country Publications on South-South Cooperation” প্রকাশনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যা সেপ্টেম্বর ২০১৮-এ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মোড়ক উন্মোচনের সম্ভাবনা রয়েছে;
  • চ) জাতিসংঘ অনুবিভাগের বাস্তবায়নাধীন ইউএনডিপি’র সহায়তাপ